গাজার হাসপাতালগুলোর খুব কাছে চলে এসেছে যুদ্ধ
প্রকাশিত : ১৫:৫৫, ১১ নভেম্বর ২০২৩
গাজার সব প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা, আল-কুদস, আল-রানতিসি এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের একেবারে কাছে এখন ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। শুক্রবার সারাদিন ধরে হাসপাতালগুলোর আশপাশে এবং ভেতরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েল বারবার অভিযোগ করে আসছে যে আল-শিফা হাসপাতালের নিচের টানেলে হামাস অবস্থান করছে, যা অস্বীকার করেছে হামাস।
এক নারীর করা একটি ভিডিও বিবিসি যাচাই করে দেখেছে যে, সেটি গাজা শহরের আল-রানতিসি হাসপাতালের ভেতরে করা। সেখানে তিনি বলছেন যে এই হাসপাতালটি চারদিকে ট্যাঙ্ক দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং এখানে আশ্রয় নেয়া সবাইকে চলে যেতে বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে উত্তর গাজার এই হাসপাতালগুলো নিজেদের সামর্থ্যের ‘চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে’ এবং হাজার হাজার লোকের জীবন এখান ঝুঁকিতে রয়েছে।
আল শিফা হাসপাতালের ডাক্তার সালামিয়া পরিস্থিতিকে ‘ভয়ংকর’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি তার চারদিকে গুলি এবং বোমার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন বলে জানান।
অন্যদিকে গাজার আরেকটি হাসপাতাল আল-নাসর থেকে সাদা পতাকা হাতে শিশু ও বয়স্কদের বের হতে দেখা যায়।
হামাস চালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের উপর মানুষ মারা গিয়েছে গাজায়, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজারই শিশু।
অন্যদিকে ইসরায়েল তাদের মৃত্যুর তালিকা সংশোধন করে প্রকাশ করেছে। এতদিন তারা মৃতের সংখ্যা ১৪০০ বললেও শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায় আসল সংখ্যা ১২০০ জন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লায়র হাইয়াত বলেন, ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলার পরপরই যারা মারা যায় তাৎক্ষণিক তাদের রশনাক্ত করা সম্ভব হয়নি এবং “এখন তারা মনে করে ওগুলো ইসরায়েলিদের নয় বরং হামাস সন্ত্রাসীদের মৃতদেহ”।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
এসবি/
আরও পড়ুন